Please find out the little documentary story in the Bengali Language following. The story is written by me and it first published on 05/09/2013 in a weekly webmagazine.
চলুন না একবার সকলে মিলে ঘুরে আসি বেলুড় মঠ।
বেলুড় মঠের “কুমারী পূজা”
-
কিরণাংশু শেখর বাগ
পৃথিবীর প্রায় সমস্ত
মানুষেরই চেনা এই নাম “বেলুড় মঠ”, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ এর প্রিয় শিষ্য নরেন মানে
আমাদের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ এর হাতে প্রতিষ্টিত হয় এই বেলুড় মঠ। ইংরেজি মাসের ১৬ই মে’
১৮৯৭ সালে এই মঠের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে
প্রিয় এক শান্ত ও শান্তি পূর্ণ দেবত্য স্থান হয়ে আছে।
এই সুন্দর দেবত্য স্থানটি
হুগলী নদীর ধারে বেলুড় এ অবস্থিত। ভারতীয় রেল সরকার এই মঠের নামানুসারে একটি রেল
ষ্টেশন “বেলুড় মঠ” তৈরী করেছেন এবং ইহা মূল মঠ থেকে ২ মিনিট এর হাটা পথ।
যাই হোক মঠ সম্বন্ধে খুব
অল্প একটু পরিচিতি দিলাম। এবার মূল কথায় আসা যাক।
আমাদের বাঙ্গালীর সব থেকে
বড় উৎসব দূর্গাপূজা বা শারদ উৎসব। সারা বংলা জুরে শরতকালে এই উৎসব অনুষ্টিত হয়। এই
দুর্গাপূজা বেলুড়মঠে তেও অনুষ্টিত হয় এবং এই পূজা বেলুড়মঠে প্রথম ১৯০১ সালে অনুষ্টিত
হয়, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত বছরের পর বছর এই পূজা হয়ে আসছে এই মঠে।
বেলুড়মঠের পূজা মহালয়ার
দিন থেকে শুরু হয়, এরপর মহাষষ্টী, মহাসপ্তমী কাটিয়ে আসে সেই মহাষ্টমী, আর এই
মহাষ্টমীতেই হয় বেলুড়মঠের “কুমারী পূজা”।
কুমারী পূজাঃ কুমারী পূজা স্বামী
বিবেকানন্দ শুর করে গিয়ে ছিলেন বেলুড়মঠে যে দিন থেকে প্রথম দূর্গাপূজার সূচনা
হয়েছিল মঠে সেদিন থেকে। এই কুমারী পূজাতে ৫ বছর থেকে ৭ বছর বয়সী কুমারীদের পূজার
জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই পূজার পিছোনে ছোট্টো একটা ইতিহাস আছে। ঠাকুর রামকৃষ্ণ
মনে করতেন যে এই কুমারীরা দেবী মায়ের রূপ আর এদের হৃদয় খুব পবিত্র, আর তাই স্বামী
বিবেকানন্দ এই কুমারী পূজার সূচনা করেন।
স্বামীজি এই পূজা ৯ জন
কুমারী নিয়ে শুরু করেছিলেন, আর তিনি নিজে হাতে তাদের সকলকে আরতী করেছিলেন। কিন্তু
বর্তমান কালে একজন কুমারীকেই পূজা করা হয়। এই পূজার জন্য শুধু মাত্র ব্রাহ্মন
পরিবারের কুমারীদের নেওয়া হয় আর যে পরিবারের কুমারী কে পূজার জন্য নির্বাচিত করা
হয়, সেই কুমারীর পরিবারকে অনেক নিয়মের মধ্যে থাকতে হয় তাদের কুমারী কে এই কুমারী
পূজাতে যোগ্য করে তোলার জন্য। নির্বাচিত কুমারী কে পূজা করার পূর্বে তার মায়ের
অনুমতি নিয়ে তাকে পূজার আসনে বসানো হয়। এই পূজা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী
হয়। পূজার পূর্বে কুমারী কে লাল শাড়ী পড়িয়ে দূর্গা প্রতিমার পাশে বসানো হয়, এবং
পূজা চলা কালিন সকল সন্ন্যাসী মিলে কুমারী কে পূজা করেন, আরতি করেন ও পূষ্প দান
করেন।
বেলুড়মঠের ওয়েবসাইট এ
বলেছে যে –
“Worship of a young girl,
treating her as Devi, is also a part of Aashtami Puja. Sri Ramakrishna has said
that the Divine Mother manifests herself, more in a pure hearted Girl and that
is why Kumari Puja is done. He used to bow down before little girl looking upon
them as manifestation of Divine Mother. When Durga Puja was done at Belur Math
for the first time. Swami Vivekananda worshipped several Kumaries. Now only one
Kumari is worshipped. The same kinds of offerings made to the Devi are given to
the Kumari also and finally Aarati is performed. Even senior monks offer
flowers at her feet.”
গত বছর মানে ইংরাজী এর
২০১২ সালে বেলুড়মঠের দূর্গাপূজাতে ২২ শে অক্টোবর মহাষ্টমীর দিন বেলা ৯ টার সময়
কুমারী পূজা শুরু হয়েছিলো।
প্রতি বছর এই মহাষ্টমীর
দিন অনেক ভোর থেকেই পূজা শুরু হয় আর এই পূজা চলা কালিন লগ্ন অনুসারে কুমারী পূজা
শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment